"অহংকার পতনের মূল"
অহংকারী ব্যক্তিকে কেউ ভালোবাসেন না।বরং সে সমাজ, রাষ্ট্র সকলের কাছে ঘৃণার পাত্র।কেউই তাকে মেনে নিতে বাধ্য নয়। পৃথিবীতে অসংখ্য রাজা-বাদশা অহংকার করেছিলেন কিন্তু তারা আজও ঘৃণার পাত্র বিবেচিত।
আল কোরআনে এ ব্যাপারে অনেক আয়াত রয়েছে।
যেমন সূরা আলাপের ১১-১৩ আয়াতে বলা আছে:
١١.ولقد خلقنكم ثم ثورتكم ثم قلنا للملائكة واسجدوا لادم فسجدوا الا ابلىيس لم يكن من المسجدين
আর (হে মানব জাতি)! আমি তোমাদের কে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদের কে আকৃতি দান করেছি। তারপর ফেরেস্তা থেকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সেজদা কর। অতঃপর ইবলিশ ব্যতীত সকলেই সেজদা করল।ইংলিশ সেজদাকারীদের অন্তর্ভূক্ত হলো না।
١٢.قال ما منعك الا تسجد إذ امرتك
قال أنا جير منه خلقتني من نار وخلقته من طين
আল্লাহ বললেন, আমি যখন তোমাকে সেজদা করার নির্দেশ দিলাম, তখন কে আবার তোমাকে নিষেধ করল,যে তুমি সেজদা করতে পারলে না?ইবলিশ বলল,انا خير منه বা আমি আদমের থেকে উত্তম।। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন আগুন থেকে আর আদম কে তো মাটি থেকে।
١٣.قال فاهبط منها فما يكون لك أن تتكبر فيها فأخرج انك من الصغيرين
আল্লাহ বললেন ,এ স্থান থেকে তুমি নেমে যাও।এখানে তোমার অহংকার করার কোনো অধিকার নেই।অতএব তুমি বের হয়ে যাও। নিশ্চয়ই তুমি তুচ্ছ,অন্যদের অন্তর্ভূক্ত।
ঠিক একই ভাবে ফেরাউন ও অহংকার করে বসেছিলো। পরিণতি কি হয়েছিল তা সবারই জানা আছে। সূরা নাযিআতে আছে যেঃ
٢٣.فحسر فنادى
অতঃপর সে একত্রিত করল এবং ঘোষণা করল(তার সেনাবাহিনী ওযাদুকরদের )
٢٤.فقال انا ربكم الاعلى
অতঃপর সে বলল,আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ প্রতিপালক।
٢٥.فاخذه الله نكال الآخرة والاولى
অতঃপর আল্লাহ তাকে পাকড়াও করলেন শেষোক্ত এ বাক্যের পূর্ববর্তী বাক্যের।
শাস্তি কি দিয়েছিল তা সুরা বাকারার বলা আছে:
وإذ فرقنا بكم البحر فانخيناكم واغرقنا ال فرعونا وانتم تنظرون
যখন আমি তোমাদের জন্য সমূদ্রের দার কেটে উন্মুক্ত করেছিলাম। অতঃপর তোমাদের কে উদ্ধার করলাম এবং ফেরাউন সম্প্রদায় কে ডুবিয়ে মারলাম। এবং তোমরা তা প্রত্যক্ষ করছিলে।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন:
ان الله لا يحب المتكبرين
নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকার কারীকে পছন্দ করেন না।