সূরা মুলক : আমল ও ফযীলত :
----------------- [পার্ট :০৪]------------------
সূরা মুলক তিলাওয়াতকারীর জন্য কবরের আযাব থেকে প্রতিবন্ধক হবে :
কবরের আযাব থেকে আল্লাহর পানাহ। কবরের আযাব অত্যন্ত ভয়াবহ। মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণী কবরের আযাব বুঝতে পারে, শুনতে পারে। নবীজী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, মানুষ দাফন করতে ভয় পাবে; নইলে আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতাম, তিনি যেন তোমাদের কবরের আযাব শোনান।নবীজী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদেরকে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতে বলেছেন।
হযরত যায়েদ ইবনে ছাবেত (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেন----
تَعَوّذُوا بِاللهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ.
তোমরা কবরের আযাব থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৮৬৭)
নবীজী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজেও কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন। আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহা) বলেন, একবার এক ইহুদী নারী তাঁর কাছে এল। সে কবরের আযাব প্রসঙ্গে আলোচনা করল এবং বলল, আল্লাহ্ আপনাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। নবীজী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এলে আয়েশা সিদ্দীকা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহা) তাঁকে কবরের আযাব সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। নবীজী উত্তরে বললেন, হাঁ, কবরের আযাব (সত্য)।
আম্মাজান হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহা) বলেন----
فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ بَعْدُ صَلّى صَلاَةً إِلّا تَعَوّذَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ.
এর পর থেকে আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে দেখেছি, প্রতি নামাযের পরই তিনি কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৩৭২)
নবীজী (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কী ভাষায় কবরের আযাব থেকে পানাহ চাইতেন তাও বর্ণিত হয়েছে হাদীস শরীফে। হযরত আবু হুরায়রা (রাদিআল্লাহু তা'আলা 'আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু'আয় বলতেন----
اللّهُمّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَمِنْ عَذَابِ النّارِ، وَمِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالمَمَاتِ، وَمِنْ فِتْنَةِ المَسِيحِ الدّجّالِ.
অর্থ : হে আল্লাহ্! আমি কবরের আযাব থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। জাহান্নামের শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আরো আশ্রয় প্রার্থনা করছি, জীবন-মৃত্যু ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৩৭৭)